বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
রেল দুর্ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে একমাত্র ছেলে অনিন্দ্যকে হারিয়েছিলেন ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগর কাকপুল নয়া সমাজের দত্ত দম্পতি। সন্তানকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তপন দত্ত ও রুমা দত্তকে।আর তাই একাকীত্ব ও ছেলেকে হারানোর মানসিক কষ্ট কাটাতে সিদ্ধান্ত নেন আবার নতুন প্রাণ আনবেন পৃথিবীতে, সন্তানের জন্ম দেবেন। যেহেতু স্বামী-স্ত্রীর বয়সটা বেশি, নানা সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের।
এই সাড়ে ৩ বছরে নানাভাবে বহু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দত্ত দম্পতি। সেই সূত্রেই যোগাযোগ হয় হাওড়ার বালি এলাকার এক চিকিৎসকের সঙ্গে। এরপর সেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শুরু হয় চিকিৎসা। আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন বৃদ্ধ দম্পতি। অবশেষে গর্ভধারণ করার পর, একাধিক শারীরিক অসুবিধার সম্মুখীন হন ৫৪ বছরের অন্তঃসত্ত্বা রূপা দত্ত।
ভারতীয়ু একাধিক গনমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় এগিয়ে আসলেও, পিছু হটেন ওই চিকিৎসক। তিনি ঝুঁকি নিতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেন। নিরুপায় ওই দম্পতি অবশেষে যোগাযোগ করে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমের সঙ্গে। সেখানেই চিকিৎসকদের সাহায্যে ফুটফুটে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন বৃদ্ধ এই দত্ত দম্পতি।
চলতি বছরের ১০ অক্টোবরে শিশুর জন্ম দেন তারা, মা সহ সন্তানদের শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বেশ কিছুদিন থাকতে হয় হাসপাতালেই। অবশেষে, ৩০ নভেম্বর যমজ শিশুদের নিয়ে অশোকনগর কাকপুল নয়া সমাজের বাড়িতে আসলেন বাবা ও মা। প্রতিবেশীদের পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ফুল ছিটিয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে বরণ করে নেন বাবা-মা সহ যমজ সন্তানদের। আর এর মধ্যে দিয়েই যেন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন দত্ত দম্পতি। যা আগামীতে ভরসা জোগাবে আরও বহু নিঃসন্তান দম্পতিদের।